একশপের সাথে দেশের ৬৪ টি জেলায় ব্র্যান্ডিং প্রডাক্ট নিয়ে জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়কে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে একশপ, এ টু আই এবং জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। জেলা ব্র্যান্ডিং এর আওতায় প্রথম জেলা হিসেবে যুক্ত হলো সিরাজগঞ্জ।

সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো.আব্দুল মান্নান। 

তিনি বলেন, ই-কমার্স প্লাটফর্মে ছাত্র শিক্ষক, রাজনৈতিক, সুশীলসমাজের ব্যক্তিসহ সব শ্রেণীর  মানুষকে যুক্ত করতে হবে। কাজ যদি কারো সমস্যা হয় জেলা ব্র‍্যান্ডিং টিম আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়গুলো সমাধান করে দিবে। আর জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় এটা দ্রুত বিস্তার লাভ করবে। চলতি বছরেই জেলা ব্র‍্যান্ডিং এর প্রসারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, যে ব্র‍্যান্ডিং এর কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলো যেন প্রসার করা যায়, সেই সাথে লোগো থিম তৈরা করা ও ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম যে আছে সেগুলোতে যেন দক্ষতা অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের জেলা ব্র‍্যান্ডিং টিম সাহায্য করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকে ও আপনাদের সব ধরনের সাহায্য করা হবে।

এটুআই এর উপ সচিব ও কনসালটেন্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, ২০১৭ সাল থেকে জেলা ব্র‍্যান্ডিং এর কাজ শুরু করেছি। সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী দেশের অন্যতম। তাঁতের উপরে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিরাজগঞ্জের তাঁত নিয়ে কিভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করবো।

যুগ্ম-সচিব, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও যুগ্মপ্রকল্প পরিচালক এটুআই এরড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, জেলার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ, জেলার সর্বস্তরের মানুষকে উন্নয়নের অভিযাত্রায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবো। সেই সাথে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যায় সে বিষয়গুলো খেয়াল করে আমাদের কাজ করতে হবে।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার স্বাতন্ত্র্য এবং সম্ভাবনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জেলা-ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা ব্র‍্যান্ডিং এর সাথে যারা তারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।  আর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

হেড অব ই-কমার্স, এক শপ, এটু আই, রেজুয়ানুল হক জামি বলেন, সহজে ও দ্রুত সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতার দোরগোড়ায় পৌঁছে একশপ, এসএমই সহ যে প্লাটফর্মগুলো আছে সেগুলো আপনাদের সাথে থেকে কাজ করে যাবে।সহকারী কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, জেলায় তাঁতী পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪৬,৪০৩, তাঁত কারখানা প্রায় ১৪,৮৪৯ টি এবং তাঁত সংখ্যা প্রায় ৪,০৫,৬৭৯ টি। প্রতিবছর এ জেলায় তাঁত থেকে প্রায় ২০.৬৯ কোটি মিটার বস্ত্র উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়া এ শিল্প সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ২,০৮,১৫৬ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উপ সচিব ও স্পেশালিষ্ট এটুআই এর দৌলতুজ্জামান খান বলেন,  জেলার চলমান উদ্যোগ এবং সম্ভাবনাসমূহকে বিকশিত করার মাধ্যমে জেলার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে এটির মাধ্যমে।

এছাড়া যুক্ত ছিলেন যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এটু আই সেলিনা পারভেজ, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, ইউডিসি উদ্যোক্তা ও তাঁত বোর্ডের সদস্যগণ।